গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দিনদুপুরে প্রাইভেট কারচাপা দিয়ে এক ব্যক্তির জমি কেনার ১৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার লতিফপুর এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জোড়া সেতুর পাশে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাইভেট কার দিয়ে চলন্ত মোটরসাইকেলকে চাপা দেওয়ায় তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে গুরুতর আহত আমিনুল ইসলাম নামের একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে জমি কেনার টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানার পাশেই কান্নায় ভেঙে পড়ে আহত ব্যক্তিদের পরিবার।
এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের লতিফপুর এলাকার জোড়া সেতুর পাশে বেলা ৩টার দিকে ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। ভাউমান টালাবহ এলাকার বাসিন্দা আফসার আলীর তিন ছেলে আরিফ হোসেন, আরফিন হোসেন ও আবির হোসেন এবং তাঁদের স্বজনেরা জমি কেনার জন্য প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে লতিফপুরের একটি ভেন্ডর অফিসে আসেন। দলিল লেখক কাগজপত্রে ত্রুটি উল্লেখ করলে দলিল সম্পাদন স্থগিত থাকে।
পরে আরফিন, আবির ও তাঁদের ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ির দিকে রওনা দেন। লতিফপুর জোড়া সেতু এলাকায় পৌঁছালে একটি প্রাইভেট কারে করে দুর্বৃত্তরা তাঁদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তাঁরা সড়কে ছিটকে পড়তেই ছিনতাইকারীরা দ্রুত এসে টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় এবং গাড়ি ঘুরিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। গুরুতর আহত আমিনুল ইসলামকে পরে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদিকে টাকা হারিয়ে ভুক্তভোগী পরিবার থানার পাশেই আর্তনাদ করতে করতে ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় আরফিন হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত ব্যক্তিদের স্বজন রোকেয়া বেগম বলেন, ‘আমার মা জয়তুন বেগমের পৈতৃকসূত্রে পাওয়া জমি তাঁর ভাইয়ের ছেলেদের নামে দলিল করার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্রের ঝামেলার কারণে দলিল করা হয়নি। পরে আমার দুই মামাতো ভাই আরফিন, আবির ও ভগ্নিপতি আমিনুল ওই টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কিছু দূর গেলেই একটি প্রাইভেট কারে দুর্বৃত্তরা এসে তাঁদের চাপা দিয়ে প্রায় ১৪ লাখ টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়।’
দলিল লেখক মতিউর রহমান বলেন, ‘তাঁদের দলিল সম্পাদনের জন্য প্রস্তুত করেছিলাম। কিন্তু ওই জমির একটি আমমোক্তারনামা দলিল থাকায় তা সম্পাদন করা যায়নি। পরে দুই পক্ষকে বুঝিয়ে দিলে তারা চলে যায়।’
কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জামিল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তবে এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।’