পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেড ক্রিসেন্টের কর্মীরা বারবার মাইকিং ও অ্যালার্ম বাজিয়ে সতর্কবার্তা দিলেও সোনাগাজীর উপকূলবাসী আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে চাইছে না। স্বেচ্ছাসেবকেরা বলছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে এমন কথা তারা বিশ্বাস করছে না।
আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশে থাকা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মোরা, বুলবুল, আম্ফান ও জাওয়াদ ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে সোনাগাজী উপকূলে জরুরি বিপৎসংকেত দেখানো হলেও শেষ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়নি। তখন ১০ নম্বর বিপৎসংকেতের কথা বলার পর গবাদিপশুসহ অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিল। কিন্তু তখন যতটা বলা হয়েছিল, পরিস্থিতি ততটা খারাপ হয়নি। তাই তাঁরা এবার আর কারও কথা বিশ্বাস করছে না!
উপকূলীয় দক্ষিণ চরচান্দিয়া হামুমাঝিশিয়া, নদীভাঙ্গা, ধান গবেষণা এলাকায় আজ সোমবার সকাল থেকে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবক নরুল করিম সাইফুল ও মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, জরুরি ভিত্তিতে মাইকিং করে মানুষকে বিপদের কথা জানানো হলেও সন্ধ্যা হয়ে এল, তবু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে না।