টিকটকে কিশোরীর (১৪) সঙ্গে পরিচয় ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার দাউদ বিশ্বাস (২৩) নামের এক যুবকের। একপর্যায়ে কিশোরীকে মোবাইল ফোন উপহারের প্রলোভন দেখান। আর উপহারের ফোন আনতে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় ওই কিশোরী।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঘটলেও গত শনিবার রাতে অভিযুক্ত যুবকসহ অজ্ঞাতনামা দুজনকে আসামি করে মামলা করেন ভুক্তভোগীর দাদা। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি রেকর্ড করা হয়।
পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দাউদ বিশ্বাস ও তাঁর দেওয়া তথ্যে একই গ্রামের আতর আলী শেখকে (২৩) গ্রেপ্তার করে। গতকাল রোববার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা রেকর্ড করা হয় এবং ওই দিনেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক অপর আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল আমিন জানান, টিকটকের মাধ্যমে দাউদ বিশ্বাসের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই কিশোরীর। একপর্যায়ে কিশোরীকে একটি মোবাইল গিফট (উপহার) দেওয়ার কথা জানান দাউদ।
মোবাইল ফোনের জন্য গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দেখা করতে যায় কিশোরী। পরে তারা তেলজুড়ি নৌকাবাইচের মেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। একপর্যায়ে সন্ধ্যা হলে তেলজুড়ি এলাকার একটি মেহগনিবাগানে নিয়ে তিন যুবক মিলে ধর্ষণ করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, ওই দিন রাতেই তাকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। পরে থানায় অভিযোগ দিলে গত শুক্রবার কিশোরীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ওই কিশোরী বর্তমানে বাড়িতে আছে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, বাড়ির কাউকে না জানিয়ে দেখা করতে যায়। পরে সন্ধ্যা নেমে এলে খুঁজতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাঁদের মোবাইলে দাউদ নামের ওই যুবকের নম্বর সন্দেহ হলে কল দেওয়া হয়।
তখন দাউদ তাঁদের জানান, মেয়েটি তাঁর সঙ্গে আছে এবং বলেন—আধা ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের মেয়েকে পেয়ে যাবেন। পরে বাড়ির লোকজন তেলজুড়ি গ্রামে ছুটে গিয়ে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।