দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১২ আগস্ট থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। ভারত থেকে চাল আমদানির পর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে চালের বাজার। ফলে সব ধরনের চালে দাম কমেছে তিন থেকে চার টাকা পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দরের অভ্যন্তরে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় চালবোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাকে রয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা-৫, সম্পা কাটারি, ৪০/৯৪ (চিকন জাত) ও রত্না চাল। বন্দরে চালের মান দেখে কিনছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
প্রতি কেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯ থেকে ৫০ টাকা, সম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৭ টাকা, ৪০/৯৪ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। সব চালের মানভেদে দাম কমেছে তিন থেকে চার টাকা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গত ১২ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৩২৩টি ট্রাকে শুল্কমুক্ত ১ লাখ ২০ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে ভারত থেকে। এসব চাল ৫০০ থেকে ৫২০ ডলারে বন্দর থেকে খালাস করছেন ব্যবসায়ীরা শুধু ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর দিয়ে।
হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘চাল আমদানি চলমান রয়েছে। চালের দাম অনেক কম, তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশির কারণে তেমন বিক্রি নেই। বন্দরে অনেক চালবোঝাই ট্রাক পড়ে আছে। চাহিদা বাড়লে এসব বিক্রি হবে।’
হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী পুলক বলেন, ‘বন্দর থেকে চাল ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাই। চালের বর্তমান বাজার থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হবে। বাজার স্থিতিশীল থাকলে কিনতে এবং বিক্রি করতে সুবিধা, নইতো আমাদের লোকসান গুনতে হয়।’
এ বিষয়ে হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ভারত থেকে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু দেশের বাজারে চালের চাহিদা রয়েছে, তাই আমদানিকারকেরা দ্রুত যাতে বাজারজাত করতে পারে, সে জন্য আমরা তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।’
আরও খবর পড়ুন: