নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আব্দুল হালিম নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নের ধর্মগঞ্জ মাওলা বাজার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মৃত আব্দুল হালিম একই এলাকার মৃত মহব্বত আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পাশের ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া মাহিনুর বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী কাঁচামাল ব্যবসায়ী। প্রতি রাতে ২টা থেকে আড়াইটায় কাঁচামাল কিনতে বের হয়। গতকাল রাতে ঘুম ভাঙলে বাড়িওয়ালার বাড়িতে গোঙানির আওয়াজ শুনতে পাই। পরে তাঁদের বাড়িতে প্রবেশ করলে দেখি বাড়িওয়ালার ছেলে হাফেজ মাসুদের হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কাপড়ের টুকরা দেওয়া অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত তাঁর বাঁধন খুলে পাশের ঘরে যাই এবং দেখি মাসুদের বাবার মরদেহ বিছানায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে মৃতের ছেলে হাফেজ মাসুদ বলেন, ‘গতকাল আমাদের বাড়িতে অনেক আত্মীয় বেড়াতে এসেছিল। রাতে আমি ও আমার বাবা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। মধ্যরাতে হঠাৎ তিনজন লোক ঘরে ঢোকে এবং আমার হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর করে। চলে যাওয়ার সময় ঘরে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। তবে ওই দুর্বৃত্তরা কীভাবে বাড়িতে প্রবেশ করেছে তা বলতে পারছি না।’
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হুমায়ূন কবির বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। তবে ওই বাড়িতে বাইরে থেকে কারও প্রবেশের কোনো আলামত আমরা পাইনি। তা ছাড়া ঘরে চারটি সিসি ক্যামেরা থাকলেও সেগুলোর হার্ডডিস্ক খুলে নেওয়া হয়েছে।’
মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক দিপু বলেন, ‘আব্দুল হালিম তাঁর ছেলের পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে থাকত। তবে ঘটনার সময় তিনি ও তাঁর ছেলে ছাড়া কেউ বাড়িতে ছিল না। বিষয়টি বেশ রহস্যজনক। এ বিষয়ে আমাদের তদন্তকাজ চলছে।’