চার দিন বয়সী শিশুকে দেখতে আসেন পূর্বপরিচিত শাহিদা আক্তার ও সোহেল রানা দম্পতি। শিশুটিকে সেই অতিথির কোলে দিয়ে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে রান্নাঘরে যান মা শামসুন্নাহার। কিন্তু রান্নাঘর থেকে ফিরে দেখেন অতিথিরা ঘরে নেই, নেই নিজের সন্তানও।
এদিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সেই অতিথিরা নবজাতকের মা শামসুন্নাহারকে মোবাইল ফোনে জানান, ৮০ হাজার টাকা পেলে তাঁরা সন্তানকে ফিরিয়ে দেবেন। এ তথ্য শিশুটির মা র্যাবকে জানালে অভিযান চালিয়ে নবজাতকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত শাহিদা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার অপহরণকারী শাহিদা আক্তারকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব-৪ (সিপিসি-২)। গতকাল সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ এলাকা থেকে শাহিদাকে গ্রেপ্তার এবং নবজাতককে উদ্ধার করে র্যাব। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত অপর আসামি সোহেল রানা পালিয়ে যান।
র্যাব বলছে, ভুক্তভোগী শামসুন্নাহার (৩৫) ও মোহাম্মদ বাদল (৪০) সাভারের রাজ ফুলবাড়িয়া রাজারহাট এলাকায় ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করেন। গত শুক্রবার সাভারের একটি হাসপাতালে তাঁদের একটি ছেলে শিশু জন্ম নেয়। সেই শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে আসেন এই দম্পতি। সোমবার বিকেলে শিশুটিকে দেখতে তাঁদের বাসায় যান পূর্বপরিচিত শাহিদা ও সোহেল রানা দম্পতি। তাঁদের আপ্যায়নের উদ্দেশ্যে শিশুটিকে তাঁদের কোলে দিয়ে রান্নাঘরে যান শিশুটির মা শামসুন্নাহার। পরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শিশুটিকে নিয়ে অপহরণের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যান তাঁরা।
র্যাব কর্মকর্তা রাকিব মাহমুদ আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া নারী পলাতক আসামির সহযোগিতায় মুক্তিপণ আদায়ের জন্য শিশুটিকে অপহরণের কথা স্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে আসামিকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।