ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চার নারী যাত্রীর কাছ থেকে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৯০টি আইফোনসহ ১০২টি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ৯৮টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এগুলো চোরাচালানের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছিল।
আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) তাঁরা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসেন। পরে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর কাস্টমস এবং অ্যাভসেকের বিমানবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের কাছ থেকে এসব স্মার্টফোন উদ্ধার করেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিবেচক) সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) কাওছার মাহমুদ সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ বেলা ১১টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের (বিজি-১৪৮) দুবাই-চট্টগ্রাম-ঢাকা ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় অবতরণ করে। পরে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর কাস্টমস এবং অ্যাভসেকের বিমানবাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে ওই ফ্লাইটের সব যাত্রীকে বিশেষ নজরদারিতে রাখেন।
গ্রিন চ্যানেল অতিক্রম করার সময় তল্লাশি চালিয়ে চার নারী যাত্রী—সামিয়া সুলতানা, শামিমা আক্তার, জয়নব বেগম এবং নুসরাতের শরীরে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৩৫টি আইফোন ১৭ প্রো ম্যাক্স, ৫৫টি আইফোন ফিফটিন এবং ১২টি গুগল পিক্সেল ফোনসহ মোট ১০২টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরে ওই যাত্রীরা ফোন সম্পর্কে কোনো তথ্য না দিতে পারায় বিমানবন্দর কাস্টমস ৯৮টি ফোন ডিএম (জব্দ) করে; যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
বেবিচক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিনিয়ত চোরাকারবারিরা বিভিন্ন সময় সোনা, মোবাইল, সিগারেট পাচার করে। যেসব বিমান দুবাই, শারজাহ থেকে ঢাকায় আগমন করে, সেসব বিমানেই এসব চোরাচালান বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন সময় বিমানবন্দরের কাস্টমস ও অন্য সংস্থা চেক করলেও তাঁরা কৌশল পরিবর্তন করেন। দুবাই, শারজাহর যেসব বিমান চট্টগ্রাম হয়ে আসে, সেসব বিমানে চোরাকারবারিরা চট্টগ্রাম থেকে তাঁদের নিজস্ব কিছু লোক ঢাকায় আসার জন্য ওঠে এবং বিমানের মধ্যেই কৌশলে সোনা, মোবাইল হস্তান্তর করে।