জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির আজ রায় ঘোষণা হবে। তবে রায়ের দিনটির কোন প্রভাব পদ্মা সেতু ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জ অংশে পড়েনি। সেখানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। জনদুর্ভোগ এড়াতে মাওয়া প্রান্তসহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়তি সতর্কতা জোরদার করেছে।
পদ্মা সেতুর উত্তর টোল প্লাজাসংলগ্ন খানবাড়ি এলাকা, সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা ও শ্রীনগর উপজেলার ছনবাড়ীসহ এক্সপ্রেসওয়ের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাসাড়া হাইওয়ে থানা ও সিরাজদিখান থানা-পুলিশের চেকপোস্টে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চলছে। জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে, যাতে কেউ অবৈধভাবে কোনো বিশৃঙ্খলা বা নাশকতার চেষ্টা করতে না পারে।
বলাকা পরিবহন ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটে চলাচল করছে। বাসচালক আব্দুল রহিম বলেন, ‘সকালবেলায় যাত্রী ছিল, কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সংখ্যা কমে গেছে। পথে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
পদ্মা সেতুর উত্তর টোল প্লাজাসংলগ্ন খানবাড়ি এলাকায় ফরিদপুরগামী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ‘আজ আমার বোনের মেয়ের বিয়েতে যাওয়ার জন্য ফরিদপুর যাচ্ছি। সকালবেলায় অনেক যাত্রী ছিল, এখন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যাত্রীসংখ্যা কমে গেছে। তাই বাসের জন্য অপেক্ষা করছি।’
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কোনো ধরনের নাশকতা, যানবাহনের ক্ষতি বা জননিরাপত্তায় বাধা যাতে কেউ সৃষ্টি করতে না পারে, সেই জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। টহল টিম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে, চেকপোস্টে সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষের সহায়তাও পাওয়া যাচ্ছে।’
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি এ টি এম মাহমুদুল হক জানান, এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। পদ্মা সেতু ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি এবং তৎপরতার কারণে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। সার্বিকভাবে সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা কমে গেছে।