হোম > সারা দেশ > ঢাকা

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১৫ অক্টোবর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক দুই মন্ত্রীসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মুদিদোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী এই তারিখ ধার্য করেন। 

গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এই মামলাটি দায়ের করা হয়। রাজধানীর একজন ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শীতল বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন। মোহাম্মদপুর থানা মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গণ্য করেন। 

মামলার বাদীর আইনজীবী মো. মামুন মিয়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল–সংক্রান্ত তারিখ ধার্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল–মামুন, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য ও তৎকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে মামলায় আসামি করা হয়। 

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পর তাঁর বিরুদ্ধে এটি প্রথম হত্যা মামলা। মামলার বাদী একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এই মামলা করেছেন বলে আরজিতে উল্লেখ করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করে। ওই সব শান্তপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালায়। বহু ছাত্র–জনতা নিহত ও আহত হয়। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বছিলায় ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র–জনতা শান্তপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিল। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদিদোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন। 

মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, নিহত সায়েদকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার/বোদা থানার নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তাঁর মা, স্ত্রী, ছেলেসন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তাঁরা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এ জন্য বিবেকের তাড়নায় বাদী আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই মামলা করলেন। 

বাদী মামলার অভিযোগে আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করার বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কাজেই বিচার হওয়া প্রয়োজন।

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে

মণিপুরীদের জীবনধারার আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সময় বাড়ল

চীন নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পেলেন ২৯ সাংবাদিক

গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অঙ্গনে হামলা পরিকল্পিত মতাদর্শিক সন্ত্রাস: আনু মুহাম্মদ

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: গ্রেপ্তার আরও ৩, ডিআরইউর মানববন্ধন

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে ৩০০ ফুটে নেতা-কর্মীদের ভিড়

রাজধানীর মগবাজারে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণে যুবক নিহত

হাদি হত্যা: ফয়সালকে সীমান্তে আত্মগোপনে সহায়তাকারী ৫ দিনের রিমান্ডে