জামালপুর জেলা কারাগারে ‘সহবন্দীদের মারধরে’ গুরুতর আহত এক হাজতি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। নিহতের নাম হযরত আলী ওরফে পাগলা হযরত (২৫)। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগের রাতে কারারক্ষীরা গুরুতর অবস্থায় তাঁকে ঢামেকে ভর্তি করেন।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক ও কারারক্ষী আরমান। লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষের বরাতে পরিবার জানায়, কারাগারে ফ্যান ব্যবহারের বিষয় নিয়ে অন্য এক বন্দীর সঙ্গে হযরতের তর্ক হয়। এ নিয়ে দুই-তিন বন্দী দরজার চৌকাঠ খুলে তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
হযরত আলী জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার তারাটিয়া বাজার টেংরিবাড়ি গ্রামের ইমাম হোসেনের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছোট। প্রায় এক মাস আগে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি জামালপুর কারাগারে বন্দী হন।
নিহতের বাবা ইমাম হোসেন বলেন, ‘কারা কর্মকর্তারা প্রথমে আমাকে বলেন, আমার ছেলে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছে এবং তাকে ময়মনসিংহে নেওয়া হয়েছে। পরে জানালেন ঢাকায় আনা হয়েছে। এরপর জানি, ফ্যান ছাড়া নিয়ে তর্কের জেরে কয়েকজন বন্দী তাকে চৌকাঠ খুলে পিটিয়ে আহত করেছে। যারা মেরেছে তাদের নাকি পানিশমেন্ট দেওয়া হয়েছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে আমার ছেলেকে পিটিয়ে মারা হলো? আমি এর বিচার চাই।’
কারা সূত্র জানায়, মারধরের পর প্রথমে হযরত আলীকে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারকে জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে তাঁকে ঢামেকে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।