গত দুই নির্বাচনে অনেক ভোটার অভিযোগ করেছেন, তাদের ভোট আগেই দেওয়া হয়ে গেছে, তাই তারা ভোট দিতে পারছেন না। তবে এবার জাল ভোট প্রতিকারের পাশাপাশি ভোটারের অধিকার রক্ষায়ও নির্বাচন কমিশন সচেষ্ট। জাল ভোট প্রতিকারে ভোটারের জন্য রাখা হয়েছে ‘সান্ত্বনা ভোট’ এর ব্যবস্থা।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলছেন, যদি কোনোভাবে একজন ভোটারের ভোট দেওয়া হয়ে যায় এবং পরবর্তী সঠিক ভোটার এসে তার ভোট দিতে না পারেন তবে সেই ভোটারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তার ‘সান্ত্বনা ভোট’ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের।
রানী বিলাসমণি সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু কাইছার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাল ভোট শনাক্ত হলে আমরা প্রথমে সেটার সঙ্গে কারা যুক্ত তা বের করার চেষ্টা করব। এর পাশাপাশি যদি সংশ্লিষ্ট ভোটার কেন্দ্রে আসেন তবে আমরা তার কাছ থেকে ‘‘সান্ত্বনা ভোট’’ নেব।’ তবে গণনার সময় ‘‘সান্ত্বনা ভোট’’ বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।
কাজী আজিমউদ্দিন কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা সুমন আজকের পত্রিকাকে জানান, ভোটারের প্রতি সম্মান দেখাতেই এবার বিশেষভাবে ‘‘সান্ত্বনা ভোট’’ এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
‘‘সান্ত্বনা ভোট’’ এর বিষয়ে গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ট্রেইনিং এর সময় এটা বলে দেওয়া হয়েছে। যদি কোনো ভোটারের ভোট কোনোভাবে দেওয়া হয়ে যায় এবং সেই ভোটার পরবর্তীতে শনাক্ত হয় তবে তাকে সান্ত্বনা ভোট দিতে হবে।’