আজ শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার অদূরে নরসিংদীর কাছে উৎপত্তি হওয়া ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হতাহতেরও খবর পাওয়া গেছে। একাধিক হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া অনানুষ্ঠানিক তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৮৫ জন আহত হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সার্বিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। টেলিফোন মারফত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন হাসপাতালে হতাহতের পরিসংখ্যান দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (এসএসএমসিএইচ): নিহত: ৩ জন। নিহতদের মধ্যে একজন মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাফিউল ইসলাম। আহত: ১০ জন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ): আহত: ১০ জন।
তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, গাজীপুর: আহত: ১০ জন।
নরসিংদী জেলা হাসপাতাল: আহত: ৪৫ জন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
১০০ বেড হাসপাতাল (অজ্ঞাত স্থান): আহত: ১০ জন।
মোট আহত ও নিহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের পরপরই স্বাস্থ্য বিভাগ জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মঈনুল আহসান নিশ্চিত করেছেন, সবক’টি হাসপাতালে জরুরি মেডিকেল টিম কাজ করছে। সরকার থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য সব প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করার চেষ্টা চলছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সামগ্রিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক মনিটর করছে।
জরুরি অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত শয্যা, ওষুধ এবং চিকিৎসকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে এএসআই জাকারিয়া হোসেন নয়ন ফায়ার সার্ভিসকে নিশ্চিত করেছেন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ৩ জন মারা গেছেন। ১০ জন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
এ ছাড়া আরমানিটোলার কসাইটুলি এলাকার একটি ৮ তলা ভবনের পাশের দেয়াল এবং কার্নিশ থেকে ইট ও পালেস্তারা খসে নিচে পড়ে, যেখানে একটি গরুর মাংস বিক্রির দোকান ছিল। সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই স্থানীয় লোকজন তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকগণ ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।