প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে (১-১৩ তম গ্রেড) প্রবেশে সকল ধরনের কোটাসহ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন ‘অধিকার বঞ্চিত বেকার সমাজ’। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আহ্বায়ক তারেক রহমান বলেন, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্য তথা পরিবার কোটা এবং ২০ শতাংশ পুরুষ কোটা রয়েছে। সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে, প্রতিবন্ধী এতিম বা অনগ্রসর শ্রেণিকে বিশেষ বিবেচনায় কোটা প্রদান করা যাবে, কিন্তু এখানে সেটি মানা হয়নি। প্রতিবন্ধীরা কোটা না পেলেও শিক্ষকদের সন্তান ও স্ত্রীর জন্য কোটা রাখা হয়েছে ২০ শতাংশ। এছাড়া নারী কোটা ৬০ শতাংশ করাটা অভিমাত্রায় হয়ে যায়।
তিনি বলেন, নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যের কারণে বেকার যুবক শ্রেণি হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে। পরিবার ও সমাজের কাছে তাঁরা অনীহার বস্তুতে পরিণত হওয়ার কারণে অনেকেই আত্মহত্যা করছে।
তারেক রহমান বলেন, আমরা এই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেছি। এমন বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলে উচ্চ আদালত রুল জারি করলেও এর মধ্যেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অধিদপ্তর তাদের নিপীড়নমূলক কোটা নীতি প্রয়োগ করে নিয়োগের তৎপরতা চালাচ্ছে। যা আদালতের স্পষ্ট অবমাননা। এমন হলে আদালত অবমাননার কারণে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।