হোম > সারা দেশ > ঢাকা

অভিশ্রুতির প্রকৃত পরিচয় মিলেছে, কুষ্টিয়ার বাড়িতে শোকের মাতম

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

সাংবাদিক মেয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। তাই হন্যে হয়ে নিজের মোবাইল ফোন খুঁজছেন মা বিউটি বেগম। কখনো ফোনের জন্য চিৎকার করে সারা বাড়ি মাথায় তুলছেন। ফোনকল পেলেই ঢাকায় মেয়ে বৃষ্টি খাতুনের কাছে ছুটে যাবেন। ছোট মেয়ে বর্ষা মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছেন। প্রতিবেশীরাও যেন শোকে পাথর হয়ে গেছেন! 

রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর (প্রকৃত নাম বৃষ্টি খাতুন) মৃত্যুর খবর তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকসা বনগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় পৌঁছায় আজ শুক্রবার বেলা ২টায়। এর পর থেকেই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। নিহতের মাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষাও হারিয়ে ফেলেছেন প্রতিবেশীরা। গ্রামের বাড়ি থাকেন মা বিউটি বেগম ও তাঁর ছোট বোন দশম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা। 

ঢাকায় অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত বৃষ্টি খাতুনের গ্রামের বাড়িতে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে পাওয়া একটি ক্রেস্ট পাওয়া গেছে। ক্রেস্টের গায়ে ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি’ নামটি ইংরেজি লেখা রয়েছে। আর বাকি সমস্ত কাগজপত্রে তাঁর নাম বৃষ্টি খাতুন। 
 
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত সাংবাদিকের বাবা শাবলুল আলম সবুজ ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দরিদ্র বাবার তিনটিই কন্যাসন্তান। বড় মেয়ে বৃষ্টি খাতুন। মেজো মেয়ে ঝর্ণা রাজবাড়ী সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তিনি রাজবাড়ী থেকেই পড়াশোনা করেন। 

বৃষ্টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়েছেন গ্রামের বিদ্যালয়ে। উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজে দর্শন শাস্ত্র নিয়ে স্নাতক পড়েছেন। বিসিএস কোচিং নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন।

বৃষ্টির মেজো বোন ঝর্ণা বলেন, ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি’ নামে ফেসবুক একটি আইডি চালাতেন বৃষ্টি। এ ছাড়া তিনি কখনো অন্য ধর্ম গ্রহণ করার কথা বলেননি। ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য তিন মাস আগে বাড়ি এসেছিলেন। 

নিহতের ছোট বোন বর্ষা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার ফোনে কথা হয়। বৃষ্টি সাংবাদিকতা করলেও বাড়ি থেকে মা টাকা পাঠাতেন। 

বৃষ্টির চাচা জোয়াদ আলী জানান, ঢাকায় ছোট চাকরি করে দুই মেয়েকে বাইরে রেখে শিক্ষিত করার চেষ্টা করছেন বাবা সবুজ। গত ঈদেও বাড়ি এসেছিলেন বৃষ্টি। সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ করেছেন। 

বেতবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর আব্দুল মজিদ বৃষ্টির মৃত্যুতে সমবেদনা জানান। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি মেধাবী ছিল।’ 

বনগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম জানান, ২০১৬ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পাস করেন বৃষ্টি। স্বাধীনচেতা ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তিনি সরকারি বড় চাকরি করার স্বপ্ন দেখতেন। 

একই গ্রামের বাসিন্দা খোকসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেয়েটির বাবাকে আমি আগে থেকেই চিনি। তার তিন মেয়ে, তা-ও জানি। কিন্তু নামের পরিবর্তন বা অন্য ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে কখনো শুনি নাই।’

জাবিতে শেখ পরিবারের নামে থাকা ৪ হলের নাম পরিবর্তন

সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

ধর্ষণের মামলায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র রিমান্ডে

নির্বাচনের আগে ডিএমপির ৫০ থানায় নতুন ওসি

যন্ত্রপাতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনন্ত নিটওয়্যারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের মামলা

বাম দলের যমুনা যাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

দেশজুড়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

কর্মচারীদের আন্দোলনে যাওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা: রাজেকুজ্জামান রতন

পরকীয়ার সন্দেহ, ডেমরায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে যুবকের ছুরিকাঘাত