ওষুধ কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বিক্রয় কমিশন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কেমিস্টস অ্যান্ড ড্রাগিস্টস সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এই দাবি জানান।
সমিতির সভাপতি ময়নুল হক চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১৯৪০ সাল থেকে ওষুধ কোম্পানিগুলো খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতাদের ১৫ শতাংশ কমিশন দিয়ে আসছিল। বর্তমানে তা কমে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে। অথচ প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে এই কমিশন ৩০ শতাংশের বেশি।
ময়নুল হক অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ফি, কর, দোকান ভাড়া, ফার্মাসিস্টের বেতন ও দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় ওষুধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। সরকারি ফি ও খরচ বহুগুণ বেড়েছে, অথচ কোম্পানিগুলোর কমিশন বাড়েনি; বরং আগের চেয়ে কমেছে।
বক্তারা বলেন, কমিশন ২৫ শতাংশে উন্নীত করার দাবি তাঁরা আগেও বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি ও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে তুলে ধরেছেন। গত ২২ মে তাঁরা সারা দেশে মানববন্ধনও করেছেন। তবে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
ময়নুল হক চৌধুরী সতর্ক করে বলেন, ‘আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমাদের এই যৌক্তিক দাবি না মানা হলে, সারা দেশের কেমিস্টদের সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।’