রাজধানীর মোহাম্মদপুরে গণপিটুনিতে গুরুতর আহত শীর্ষ সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেলকে (৪০) উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত চলা সেনাবাহিনীর অভিযানে তাঁর দুই সহযোগীকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি ২টি পিস্তল ও ৬টি গুলিসহ আটক করা হয়।
সেনাবাহিনীর সূত্রে জানা যায়, ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় শের-ই-বাংলা আর্মি ক্যাম্পে তথ্য আসে যে জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় বুনিয়া সোহেলকে গণপিটুনি দেওয়া হচ্ছে। তিনটি সেনা টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। সেখান থেকে বুনিয়া সোহেলকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৩৮ টির মতো মামলা রয়েছে। গত এক বছরে বুনিয়া সোহেল গ্যাংয়ের হাতে ৭-৮টি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বুনিয়া সোহেলকে হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও শের-ই-বাংলা আর্মি ক্যাম্পের আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় তাঁর দুই সহযোগী নয়ন (৩০) ও রাব্বিকে (২৮)। সেনা টহল দল তাঁদের আটক করে। পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ছয়টি সেনা টহল দল রাত ১টার দিকে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ২টি ৭.৬৫ মিমি পিস্তল এবং ৬টি গুলি উদ্ধার করে।
৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গণপিটুনিতে সোহেল আহত হওয়ার পর তাঁর সহযোগীরা প্রতিপক্ষের ওপর প্রতিশোধ নিতে অস্ত্র জোগাড় করেছিলেন। সময়মতো আটক করতে না পারলে বড় ধরনের রক্তপাত ঘটতে পারত।
অভিযান শেষে হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় থাকা অবস্থায় বুনিয়া সোহেলকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আটক দুই সহযোগী এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্র আইনি প্রক্রিয়ার জন্য মোহাম্মদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বুনিয়ার সোহেলকে স্থানীয়রা ধরে গণপিটুনি দেয়। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে আছেন। বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। তাঁকে সেসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।