গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী সাবিনা আলমের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন বিষয়ে দুদককে পুনরায় অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেছেন, পুনরায় অনুসন্ধানে আগের কর্মকর্তা বাদ দিয়ে নতুন করে কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে। আর কোনো সংবাদ যদি দুদক ভুল বা মিথ্যা মনে করে, তবে তারা প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হতে পারবে। এই সময়ে দুদকের আইনজীবী ইনকিলাবের প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানালে সেটি নাকচ করে দেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে “২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে ‘দুদক স্টাইল’” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হলে আদালত দুদকের নথি তলব করেন। পাশাপাশি প্রতিবেদককে তাঁর তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করতে আদেশ দেন। উভয় পক্ষের নথিপত্র উপস্থাপন করা হলে শুনানি শেষে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
ইনকিলাবের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তাঁর স্ত্রীকে। দুর্নীতি দমন কমিশনের পেছনে এ বাবদ তাঁর খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকার বেশি।