রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় সুমাইয়া আক্তার তন্নি (১৭) নামের স্কুলছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরের দিকে বাসায় অচেতন অবস্থায় পরে থাকে তন্নি। পরে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলর রাত ৮টার দিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
তন্নির মামা ওবাইদুল ইসলাম জানান, তন্নির বাবা আবুল কাশেম উত্তরার একটি হোটেলে চাকরি করেন। মা মেশকো বেগম সৌদি আরব প্রবাসী। তন্নিরা তিন ভাইবোন। তাঁরা উত্তর বাড্ডা খালপার খালা পারভীন বেগমের কাছে থাকে। সেও পাশেই আরেক বাসায় ভাড়া থাকেন তন্নি স্থানীয় ব্লুবার্ড স্কুলে দশম শ্রেনীতে পড়তো।
ওবাইদুল আরও জানায়, দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে তন্নি ছিল দ্বিতীয়। দুপুরে সংবাদ পাই তন্নি অচেতন অবস্থায় পরে আছে। পরে বাসায় গিয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। জানতে পারি সে বাসায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পরে। তবে তন্নি একটু জেদি প্রকৃতির ছিল। একটু রাগ করলেই অভিমান করত। আজ দুপুরে ছোট বোন তিশার সঙ্গে তন্নির ঝগড়া লাগে। এতে খালা পারভিন তন্নিকে বকাবকি করে বলে শুনেছি।
মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন বাবা আবুল কাশেম। তিনি বলেন, জানতে পেরেছি তন্নি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কী কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়েছে তা এখনো পর্যন্ত জানতে পারিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার কামারগাঁও গ্রামে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত তন্নির থুতনিতে দাগ দেখা গেছে। মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বাড্ডা থানায় অবহিত করা হয়েছে।