অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক জাকারিয়া হোসেন অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।
সম্রাট আদালতে হাজির না থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালতে অনুপস্থিত সম্রাটের পক্ষে তাঁর আইনজীবী সময়ের আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে এই মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেদিন দুপুরে কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল, বন্য প্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান। ৭ অক্টোবর তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলা করা হয়। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক।
সম্রাটকে ২০২২ সালের ২২ আগস্ট গুরুতর অসুস্থ বিবেচনায় পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে জামিন দেন আদালত। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্রাট আর আদালতে হাজির হননি। অস্ত্র ও মাদকের মামলা ঢাকার অন্য দুটি আদালতে বিচারাধীন।