‘বাটন টিপতে না পারলে টিপে ভোট নেওয়ার জন্য লোক রাখা হবে’—এমনই এক বক্তব্য দিয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরী সারা দেশে হইচই ফেলে দিয়েছেন। সেটি তদন্তের জন্য ডিসি-এসপিকে নির্দেশনাও দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তদন্তে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘিত হওয়ায় এই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনই স্থগিত করেছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার ইসি এসব সিদ্ধান্ত নেয়। সংস্থাটির যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসাদুজ্জামান জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য চট্টগ্রাম-বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেছে কমিশন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ মে ভোটকেন্দ্রে ইভিএমের বাটন টিপতে না পারলে টিপে দেওয়ার জন্য নিজের লোক রাখার প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ওই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তিনি আরও বলেছেন, ‘ইভিএম না থাকলে রাতেই সব ভোট নিয়ে ফেলতেন।’ প্রায় ৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে মুজিবুল হক চৌধুরী চট্টগ্রামের ভাষায় ভোটারদের উদ্দেশে হ্যান্ডমাইকে বলেন, ‘তো এখানে ইভিএম একটা করেছে সরকার। তো কী করতাম। একটু কষ্ট করে গিয়ে আঙুলে চাপ দিয়ে ভোট দিতে হবে। চাপ দিতে না পারলে চাপ দেওয়ার জন্য সেখানে আমি মানুষ রাখব। তো আমাকে একটু দোয়া করবেন সকলে।’ তিনি আরও বলেন, ‘রিকশায় করে পারেন, যেভাবে পারেন ভোটটা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কারণ, ইভিএমের ভোট। ইভিএম না হলে আমি কাউকে খুঁজতাম না, ভোট আমি মেরে দিতাম। যেভাবে পারি ভোটটা মেরে দিতাম।’
মুজিবুল হক আরও বলেন, ‘ইভিএমে আইডি কার্ড ঢুকিয়ে দিতে হয়, নইলে হয় না। এটা না হলে আমি রাতেই নিয়ে ফেলতাম। তো আপনারা একটু কষ্ট করেন, আপনাদের একটু কষ্ট করে ওটা নিয়ে যেতে হবে। গিয়ে মেশিনে ফিঙ্গার দিতে হবে। কথা বোঝেননি?’