রাজধানীর তুরাগের অস্ত্র কেনাবেচার পর হাতে বদলের আগেই তিনটি রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধারের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী বলছে, এই অস্ত্র দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে নাশকতা করা তৈরির পরিকল্পনা ছিল।
তুরাগের মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়ক সংলগ্ন খালপাড় থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এসব উদ্ধার করে দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের সেনা কর্মকর্তারা।
এ সময় ৩টি থ্রি নট থ্রি, ১টি দেশীয় পিস্তল ও ৫ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
আজ শুক্রবার সেনাবাহিনীর ৬ স্বতন্ত্র এন্ডি ব্রিগেড-এর অধীনস্থ দিয়াবাড়ি সেনা ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সেনাবাহিনী জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তুরাগের মিরপুর বেড়িবাঁধ সড়কের পাশ থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তিনটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল, একটি দেশীয় পিস্তল ও ৫ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে অস্থিতিশীলতা ও নাশকতার জন্য এসব অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল।
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে নাশকতার করার উদ্দেশ্যে একটি চক্র এসব অস্ত্র কিনেছিল। কিন্তু অস্ত্র কারবারিদের কাছ থেকে ক্রেতাদের হাতে পৌঁছানোর আগেই গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উদ্ধার করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলো মিরপুর বেড়িবাঁধ রোড সংলগ্ন খালের পাশের ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। অস্ত্র বিক্রেতারা ক্রেতাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য সেখানে রেখে গিয়েছিল।
জব্দকৃত অস্ত্রের মধ্যে উদ্ধার হওয়া তিনটি থ্রি নট থ্রি রাইফেলই পুলিশের ব্যবহৃত অস্ত্র। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কোনো থানা বা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে এসব অস্ত্র লুট করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।