কিশোরগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মী পরিচয়ে হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছেন জেলা শহরের গৌরাঙ্গ বাজার ফুটপাতের হকার ও হারুয়া এলাকাবাসী। পরে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানের কাছে স্মারকলিপি দেন তাঁরা।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন জেলা শ্রমিক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিম মাহমুদ হারুন, পৌর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব জাকারিয়া মাহমুদ ঝুমন, ছাত্রলীগের কর্মী সুমন মাহমুদ ও মাদক কারবারি ওমর ফারুক।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক তৌহিদ হাসান, ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি হাবিবউল্লাহ, হকার ইব্রাহিম মিয়া, মোবারক মিয়া, মুর্শেদ মিয়া, কাউছার, এলাকাবাসীর পক্ষে মুন্না, আসলাম, শাহীন, রুমালি আক্তার, চামেলি আক্তার, পলি বেগম, শারমিন আক্তার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুমন মাহমুদ ও তাঁর সহযোগীরা জুলাই আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালান। ৫ আগস্ট সরকার পতন হলেও চাঁদা নেওয়ার রেওয়াজ বদল হয়নি। গৌরাঙ্গবাজার এলাকায় সড়কে, ভ্যানে, সেতুতে কিছু হকার ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। প্রায়ই সুমন মাহমুদ ও তাঁর সহযোগীরা এসে এই হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছেন।
মানববন্ধনে হকাররা বলেন, ‘আগে আওয়ামী লীগের লোকজন প্রতিটি ভ্যান থেকে দৈনিক ১০০ টাকা এবং মাসে ৩ হাজার টাকা নিতেন এবং প্রতিটি ভ্যান থেকে এককালীন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিতেন। এখন বিএনপি পরিচয়ে কিছু লোক দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ টাকা চাঁদা নিচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিগগির তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান বলেন, ‘স্মারকলিপি পেয়েছি। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপিটি পাঠানোর কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।’