শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষ্টমী উপলক্ষে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কুমারী পূজা। বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আয়োজিত এই পূজায় কুমারী রূপে দেবীর আসনে বসানো হয় লাবণ্য চ্যাটার্জিকে।
লাবণ্য চ্যাটার্জি ২০১৯ সালের ১৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। নীলফামারী ব্রাহ্মণপাড়া সদরের সন্ন্যাসীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী এই লাবণ্যের বয়স সাড়ে ছয় বছর। তার বাবা লিটন চ্যাটার্জি এবং মা বৃষ্টি চ্যাটার্জি।
‘কুমারী মায়িকি জয়, দুর্গা মায়িকি জয়’ ধ্বনিতে কুমারী দেবীকে মণ্ডপে আনা হয়। প্রতিমার সামনে স্থাপিত বেদিতে পুরোহিত ও ভক্তরা পঞ্চ উপকরণে পূজা অর্চনা করেন।
পূজা শেষে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ বলেন, কুমারী পূজা আসলে মাতৃভাবের মাধ্যমে ঈশ্বরের আরাধনা। জীবন্ত কুমারী কন্যাকে প্রতিমারূপে পূজা করার মধ্য দিয়ে জগজ্জননীকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতিবছর আশ্বিন মাসে কৈলাস ছেড়ে মর্ত্যে আসেন দেবী দুর্গা। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত পাঁচ দিন চলে পূজা-অর্চনা। দশভুজা দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা করেন। সন্তানদের নিয়ে কয়েকটি দিন পিতৃগৃহে অবস্থান শেষে তিনি ফিরে যান দেবালয়ে।
ধর্মীয় আখ্যান মতে, ত্রেতাযুগে ভগবান রাম স্ত্রী সীতাকে উদ্ধারের জন্য দুর্গার অকালবোধন করেছিলেন। দেবীর আশীর্বাদেই রাবণ বধ করে সীতাকে উদ্ধার সম্ভব হয়। তখন থেকেই দুর্গোৎসবের প্রচলন।
পঞ্জিকা অনুযায়ী, এ বছর দেবীর আগমন গজে বা হাতিতে, যা সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। তবে দেবীর গমন দোলায় বা পালকিতে, যা শাস্ত্রমতে শুভ নয়। এটিকে মহামারি বা মড়কের ইঙ্গিত হিসেবে ধরা হয়।