রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।
বেলা ১২টার দিকে ডিবি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার একপাশের ফুটপাতে কয়েকশ ব্যবসায়ী ও কর্মচারী দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে চায় সরকার। কিন্তু বৈধ উপায়ে আনা মোবাইল হ্যান্ডসেটে উচ্চ হারে ট্যাক্স দিতে হবে। এতে কিছু ব্যবসায়ী লাভবান হবে। সেটা যেন না করতে পারে সে জন্য একটা সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এর আগেই বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের নেতা ও সুমাসটেক লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ পিয়াসকে ডিবি কার্যালয়ে তুলে আনার অভিযোগ করেন তাঁরা। তাঁকে ছাড়িয়ে নিতে সকাল থেকেই মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা অবস্থান নেন।
মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী মো. মোর্শেদ আলম ব্যবসায়ী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে ২০ লাখ মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী রয়েছেন। সরকার যেই উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আমাদের সবার ক্ষতি হবে। সেটা বলার আগেই আমাদের ব্যবসায়ী নেতা পিয়াসকে ডিবি পুলিশ বাসা থেকে তুলে নিয়ে এনেছে। আমরা তাঁকে ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যাব না।’
দুপুর দেড়টায় ডিবি কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সহসভাপতি শামীম মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদককে ডিবিতে তুলে নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁকে এখান থেকে নিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত আমরা বাসায় ফিরব না।’
এ বিষয়ে ডিএমপির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদের (মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করছি। এটা নিয়েই আলোচনা হচ্ছে।’
তবে পিয়াসকে ডিবিতে নিয়ে এসেছেন কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য করেননি ডিবির এই কর্মকর্তা।
এর আগে দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন বিভাগের প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে আজ সকালে ছেড়ে দেয় ডিবি। সাংবাদিক মিজানুর রহমান সোহেল বাংলাদেশ অনলাইন এডিটরস অ্যালায়েন্স (ওইএ) নামে একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
ডিবি কার্যালয় থেকে বাসায় ফেরার পথে মিজানুর রহমান সোহেল মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কী কারণে আমাকে নেওয়া হয়েছে, সুস্পষ্টভাবে তারা (ডিবি) জানায়নি। তবে আজ দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির এনইআইআর (ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার) বিষয়ক একটি সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। আমি এটার পরামর্শক ছিলাম। সংবাদ সম্মেলনটি বন্ধ করতেই আমাকে নেওয়া হয়েছিল বলে ধারণা করছি। তারা আমাকে এই সংবাদ সম্মেলনটির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।’
বাংলাদেশ মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও সুমাসটেক লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আবু সাঈদ পিয়াস এখনো ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন বলে জানান তিনি।