প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের একটি দল। গতকাল রোববার তাঁদের সিরাজগঞ্জ, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মিল্লাদ হোসেন মুন্না (১৯), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮) ও এহসান ওরফে মেঘ (২৩)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা একটি সাদা প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়।
তেজগাঁওয়ের বাসা থেকে কাজে বেরিয়ে গত ৭ মার্চ নিখোঁজ হন প্রকৌশলী ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়া। এর এক দিন পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানার চিত্রকোট ইউনিয়নের কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশের ঝোপ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজ সোমবার সকালে মহানগর ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার সবাই সমকামী এবং হিজড়া। তারা ‘Grindr’ নামক একটি সমকামী চ্যাটিং অ্যাপের মাধ্যমে লোকজনকে ‘রুম ডেটের’ কথা বলে বাসায় ডেকে নেয়। এরপর বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল করে টাকা-পয়সাসহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার সঙ্গে আলিফের ‘Grindr’ গে চ্যাটিং অ্যাপের মাধ্যমে সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সুবাদেই গত ৭ মার্চ আলিফের কলাবাগানের বাসায় যান ইমতিয়াজ।
ইমতিয়াজের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আসামিরা মৃতদেহ নামিয়ে মেঘের প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান থানা এলাকার কামারকান্দা গ্রামের নবাবগঞ্জ হাইওয়ে রোডের পাশে ঝোপে ফেলে দেয়।
এরপর তারা আলিফকে বাসাবো, আনোয়ারকে গ্রিনরোডে নামিয়ে দিয়ে আরাফাত, মেঘ ও মুন্না প্রথমে নারায়ণগঞ্জ পরে চাঁদপুর, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লা হয়ে ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়।
তেজগাঁও জোনাল টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. এনামুল হক মিঠু এবং পুলিশ পরিদর্শক মো. মাসুদ রানা এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
এই ঘটনায় জড়িত আরাফাত ওরফে ফয়সাল আহমেদ রাহাত ওরফে হৃদয় এবং আলিফ এখনো পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: