গাজীপুরের শ্রীপুরে চোর সন্দেহে যুবকের গলায় ছাগল বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। প্লাস্টিকের রশি দিয়ে হাত ও গলায় ছাগল বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করেছেন ভুক্তভোগী ছাগলের মালিক ও তাঁর লোকজন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চোর সন্দেহে নির্যাতনের শিকার ওই যুবক (৩৮) ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার বাসিন্দা। তিনি শ্রীপুরে থাকেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, যুবককে রাস্তার পাশে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন করছেন কয়েকজন। এ সময় তাঁর গলায় একটি কালো রঙের ছাগলকে প্লাস্টিকের রশিতে বেঁধে রাখা হয়েছে এবং এলোপাতাড়ি মারধর করতে দেখা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ছাগলের মালিক দুলাল মিয়া বলেন, ‘রাস্তায় পাশে আমার একটি ছাগল বেঁধে রাখা ছিল। আমার স্ত্রী সেই ছাগল দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখে, একজন লোক ছাগলের রশি ধরে টানাটানি করছে। এ সময় আমার স্ত্রী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীরা তাঁকে আটক করেন।’
আপনি থানায় দেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেব।’
তাঁর গলায় কেন ছাগল বেঁধে রাখলেন? আপনি তো হাতেনাতে তাঁকে ধরতে পারেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তার গলায় ছাগল বেঁধে রাখিনি।’
ভুক্তভোগী নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি রাস্তার পাশে বসে প্রস্রাব করছিলাম। এ সময় একজন মহিলা চোর চোর বলে চিৎকার করলে জনতা আমাকে এসে আটক করে। পরে গলায় ছাগল বেঁধে মারধর শুরু করে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’