মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সুমিতা শীল (২০) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামের জেলেপাড়ায় স্বামীর বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
সুমিতা শীল কুচিয়ামোড়া জেলেপাড়ার সজল রাজবংশীর স্ত্রী এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার তাতিরহাট টেকেরহাট গ্রামের দীপঙ্কর শীলের মেয়ে।
পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, ঘটনার আগে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অভিমান থেকে সুমিতা নিজ কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে রাতের ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
আরও জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে সজল রাজবংশীর সঙ্গে সুমিতা শীলের বিয়ে হয়। তাঁদের চার বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।
সুমিতার চাচা সিদাম শীল অভিযোগ করেন, ‘আমাদের মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছিল। কয়েক দিন আগে সুমিতার ভাইকে বিদেশ নেওয়ার কথা বলে তাঁরা আমাদের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও বিদেশে পাঠায়নি। এরপর আবার অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার জন্য সুমিতার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। টাকা দিতে অপারগ হওয়ায় তাকে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। পরে বিষয়টি আত্মহত্যা হিসেবে দেখাতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’
সিরাজদিখান থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মেয়ের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।