রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠে কলাবাগান থানার নির্মাণকাজ এখনো চলছে। আজ বুধবার সরেজমিনে গিয়ে এমনটি দেখা গেছে।
এই মাঠ নিয়ে তেঁতুলতলা এলাকাবাসী দীর্ঘদিন আন্দোলন করছিল। গত রোববার ঢাকার তেঁতুলতলা খেলার মাঠ রক্ষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না ও তাঁর ছেলে মোহাম্মদ ঈসা আব্দুল্লাহকে আটক করে পুলিশ। পরদিন, অর্থাৎ গত সোমবার মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে পরিবেশবাদী ও নাগরিক সংগঠনসমূহ আপত্তি তোলে।
বুধবার সকাল থেকে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠে চেয়ার পেতে বসে আছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। এঁদের পাহারায় নির্মাণশ্রমিকেরা মাঠে দেয়াল নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এ সময় আশপাশে থাকা কয়েকজন এলাকাবাসীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে বারো বছরের মেয়েকে নিয়ে নির্মাণকাজ দেখছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা জাহানারা সরকার। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত কিছুর পরেও বাচ্চাদের খেলার মাঠেই থানা বানাতে হচ্ছে পুলিশের। পুরো এলাকার একমাত্র খেলার মাঠটাই তারা দখল করছে। আশপাশে কত জায়গা বেদখল হয়ে আছে। পুলিশ চাইলে তো সেগুলো খুঁজে সেখানে থানা করতে পারে।’
খেলার মাঠেই থানা নির্মাণ করার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্মাণকাজের তদারকিতে মাঠে থাকা এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘এখানে আমরা যারা আছি, আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। এ সময় তিনি ওপরের নির্দেশের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
এ বিষয়ে জানতে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্রকে কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে খেলার মাঠে থানা নির্মাণের প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে মাঠ রক্ষায় আন্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠন ও নাগরিকবৃন্দের যৌথ উদ্যোগে মাঠের সীমানায় বৃক্ষরোপণ ও সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।
এর আগে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সব ধরনের নিয়ম মেনেই ধানমন্ডি মৌজার শূন্য দশমিক ২০ একর (২০ শতাংশ) ওই জমি থানার জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জনস্বার্থে সরকার ডিএমপির কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণের জন্য দেশের প্রচলিত সব আইন কানুন মেনে ওই জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিএমপি কোনো ব্যক্তির বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না।
এই সম্পর্কিত পড়ুন: