হোম > সারা দেশ > ঢাকা

বর্ষায় লাখো মানুষের ভরসা ৩৭ সাঁকো

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

শতাধিক ফুটের দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো। সম্প্রতি মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের ফুলহার গ্রামে। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭টি বাঁশের সাঁকো। বর্ষাকালে উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রায় ১ লাখ মানুষের এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসব সাঁকোই ভরসা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের।

উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চিত্রকোট ইউনিয়নে ৩টি, বয়রাগাদীতে ২টি, রাজানগরে ৩টি, কোলায় ২টি, শেখরনগরে ৩টি, বাসাইলে ৩টি, মালখানগরে ২টি, কেয়াইনে ৩টি, মধ্যপাড়ায় ২টি, রশুনিয়ায় ৩টি, লতব্দীতে ৩টি, জৈনসারে ২টি, বালুচরে ৩টি ও ইছাপুরা ইউনিয়নে ৩টি বাঁশের সাঁকো রয়েছে।

এদিকে ইছামতী শাখানদীসহ উপজেলার ওই সব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের খাল পারাপারে মানুষের যাতায়াতে বাঁশের সাঁকোতে দুর্ভোগের চিত্র দেখা মিলবে পুরো বর্ষাজুড়ে। বর্ষার শুরুতেই এসব বাঁশের সাঁকো মেরামত শুরু করে দিয়েছেন স্থানীয় গ্রামের লোকজন। তবু মৌসুম পেরোতে গিয়ে অনেক সাঁকোই নড়বড়ে হয়ে যাতায়াতে হবে ভোগান্তি। শাখানদী ও খাল পারাপারে প্রতিদিন দুর্ভোগ ও ভোগান্তিকে সঙ্গী করেই চলতে হয় গ্রামের মানুষকে।

সম্প্রতি এসব এলাকা সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর বাজারসংলগ্ন ইছামতী শাখানদীর ওপর রয়েছে ১০০ ফুটের বেশি দৈর্ঘ্যের একটি বাঁশের সাঁকো। এটি শাখানদীর পাড়ের ফুলহার গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতে একমাত্র ভরসা। ওই গ্রামের হাজি ইস্পাহানি বলেন, ‘৫০ বছর ধরে দেখে আসছি এই বাঁশের সাঁকো। জনপ্রতিনিধিরা সেতু করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নেন। এভাবে কত সরকার এল-গেল, কিন্তু এখানে সেতু হলো না। তাই আমরা এখন আর কারও প্রতিশ্রুতি চাই না, সেতু চাই।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের রশুনিয়া ইউনিয়নের বাঁশের সাঁকো। ছবি: আজকের পত্রিকা

উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের উত্তর রাঙ্গামালিয়া গ্রামের খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকোতে যাতায়াত করে থাকেন অর্ধশত পরিবার। বর্ষায় সাঁকো চলাচল করতে গিয়ে তাদের পড়তে হয় বিড়ম্বনায়।

অন্যদিকে উপজেলার শেখরনগর ইউনিয়নের ফইনপুর গ্রামে ইছামতী শাখানদী পারাপারের জন্য ১ কিলোমিটারের মধ্যে পৃথক দুটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। সাঁকো দুটি শতফুট দৈর্ঘ্য। আর ওই সাঁকোয় ইউনিয়নের ফইনপুর, কালসুর, কানাইনগর, হাটখোলা, কৃষ্ণনগর, খারসুলসহ অন্তত ১০টি গ্রামের মানুষ যুগের পর যুগ দুটি বাঁশের সাঁকো দিয়েই নদী পারাপার হচ্ছেন।

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. আসিফ উল্লাহ বলেন, ‘যেসব জায়গা আমাদের মানদণ্ডের মধ্যে পড়ে, যেমন এক রাস্তা থেকে অন্য আরেকটি রাস্তায় সংযোগ দিতে হয়, সেসব স্থানে আমরা সেতু নির্মাণ করি। এ ছাড়া ছোট খালের ওপর যেগুলো পড়ে, সেগুলো উপজেলা পিআইও অফিস থেকে কালভার্টের আওতায় পড়ে। আমরা ইতিমধ্যে অনেক স্থানের জন্য সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। অনুমোদন এলে কাজ শুরু করা হবে।’

সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

ধর্ষণের মামলায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র রিমান্ডে

নির্বাচনের আগে ডিএমপির ৫০ থানায় নতুন ওসি

যন্ত্রপাতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনন্ত নিটওয়্যারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের মামলা

বাম দলের যমুনা যাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

দেশজুড়ে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দ্বিতীয় দিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি

কর্মচারীদের আন্দোলনে যাওয়া রাষ্ট্রের ব্যর্থতা: রাজেকুজ্জামান রতন

পরকীয়ার সন্দেহ, ডেমরায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে যুবকের ছুরিকাঘাত

ডাক বিভাগের ফ্রান্সে রপ্তানির কার্গোতে ইয়াবা, ধরা পড়ল শাহজালাল বিমানবন্দরে