সারা দেশের অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত করার দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লংমার্চ টু যমুনা কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ২টা ১৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে যমুনা অভিমুখে একটি মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করলে কদম ফোয়ারা স্থানে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন তাঁরা।
এতে অংশ নেন পাঁচ শতাধিক শিক্ষক। সেখানে তাঁরা কিছুক্ষণ অবস্থান নিয়ে আবার প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শিক্ষকদের মধ্য থেকে আট সদস্যের একটি টিম যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়।
আট সদস্য হলেন—বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. ইলিয়াস রাজ, সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন, সহসভাপতি সুরুজ্জামান, বরিশাল জেলার সভাপতি জীবন কৃষ্ণ সাহা, ময়মনসিংহ সমন্বয়ক এম এ সালাম, রংপুরের আসাদুজ্জামান, এ এইচ এম সালেহ বেলাল ও আনোয়ার হোসেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রিমা খাতুন আজকের পত্রিকাকে জানান, আজ ৩৭ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পাঁচ দাবির কথা উল্লেখ করে রিমা খাতুন জানান, সব বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত সুনিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা তিন হাজার টাকা নিশ্চিত করা; শিক্ষার্থীদের মিড-ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলার সরঞ্জাম দেওয়া ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করা এবং ছাত্রছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ব্যক্তিদের কোটা অনুযায়ী চাকরি সুনিশ্চিত করতে হবে।
রিমা খাতুন বলেন, ‘এসব যৌক্তিক সিদ্ধান্ত সরকারকে মেনে নিতে হবে। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি ফিরে যাব না।’