জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে নিজের গায়ে আগুন দিয়ে গাজী আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় আমিন ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (হেনোলাক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুরুল আমিন এবং তাঁর স্ত্রী ও কোম্পানির পরিচালক ফাতেমা আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী এই নির্দেশ দেন।
দুপুরের পর নুরুল আমিন ও ফাতেমা আমিনকে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তাঁদের পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ৫ জুলাই রাজধানীর উত্তরা থেকে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
৪ জুলাই বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরের খোলা স্থানে গাজী আনিস নিজের গায়ে আগুন দেন। তখন কয়েকজন সংবাদকর্মী আগুন নিভিয়ে তাঁকে দ্রুত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। পরদিন ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর ওই দিন দুপুরে গাজী আনিসের বড় ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, হেনোলাক্স কোম্পানির কাছে গাজী আনিস সোয়া কোটি টাকা পান বলে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। প্রলোভন দেখিয়ে গাজী আনিসকে হেনোলাক্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আমিন ও পরিচালক ফাতেমা আমিন ওই টাকা বিনিয়োগ করতে বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু লভ্যাংশ প্রদান করেননি এবং বিনিয়োগ করা টাকাও ফেরত দেননি। দুই আসামি গাজী আনিসকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেন।