বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে ফরিদপুরে বের হওয়া বিএনপির মিছিলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার বিকেল ৩টার দিকে শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে হামলাকারীরা শহরের কাঠপট্টি এলাকায় ফরিদ শাহ্ সড়কের মনা প্লাজায় অবস্থিত বিএনপির অফিস ভাঙচুর করে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশের সামনে তাদের ওপর হামলা ও অফিস ভাঙচুর করা হলেও তারা কোনো ভূমিকা নেয়নি।
এদিন তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রীর নামে দায়ের করা মামলার রায়ের খবর পেয়ে দলীয় অফিসের নিচ থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিএনপির নেতা কর্মীরা। মিছিলটি ফরিদ শাহ্ সড়ক হয়ে চকবাজারের মোড় হয়ে থানা রোড ধরে জনতা ব্যাংকের মোড়ে আসে। মিছিল শেষে জনতা ব্যাংকের মোড়ে দাঁড়িয়ে নেতা কর্মীরা বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নেতাকর্মীদের বক্তব্য চলাকালে শহরের স্বর্ণকার পট্টির দিক থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই সভায় হামলা চালায় ছাত্রলীগে নেতা-কর্মীরা। এ সময় বিএনপির নেতা কর্মীরা দ্রুত বিভিন্ন পথ দিয়ে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। পরে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা কাঠপট্টি এলাকায় গিলে জেলা বিএনপির অফিসে হামলা চালায়।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিতে হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। তিনি আরও বলেন, ওই সময় এলাকায় পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকলেও তারা এ হামলা ঠেকাতে কোনো ভূমিকা রাখেনি। আমরা দ্রুত সরে যাওয়ায় আহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানজিদুল রশিদ চৌধুরী বলেন, শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয় না ছাত্রলীগ। আজ যে হামলার কথা বলা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। এ জাতীয় কোনো ঘটনাই আজ ঘটেনি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ করা হয়েছিল দলীয় অফিসের সামনে তাদের কর্মসূচি পালন করতে। কিন্তু তারা তা না করে মিছিল করে জনতা ব্যাংকের মোড়ে যায়। ওই সময় ছাত্রলীগের একটি মিছিল এসে পড়েছিল। তবে কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির দলীয় অফিসে হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, অমি শুনেছি দলীয় অফিসে না অফিসের কাছে একটি দোকানে সামান্য হামলা হয়েছে।