রাজধানীর ফার্মগেটের সড়ক থেকে সরে গেছেন তেজগাঁও কলেজের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সড়ক ছাড়েন তাঁরা। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার মৃত্যুর জেরে আজ বেলা ১১টার দিকে ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সহপাঠীরা। বিক্ষোভে কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ক্যশৈন্যু মারমা জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং আশ্বাস দেন, হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া কলেজের ভেতরের সমস্যাগুলো সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজে একটি রাজনৈতিক দলের দুটি গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন, বহিরাগত ছাত্র রাখা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে আধিপত্য বিস্তার করছিল। ৬ ডিসেম্বর রাতে হলে বসে মাদক সেবনের চেষ্টা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। এতে তিনজন আহত হন, যার মধ্যে গুরুতর আহত ছিলেন উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বিভাগের সাকিবুল হাসান রানা। সাকিবুল হাসান রানা চার দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল বুধবার মারা যান।
অবরোধে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মহিমান ফাহিম অভিযোগ করে বলেন,‘সাকিবুল হাসান রানাকে রাজনৈতিক সহিংসতার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অনুমতি না দিয়ে কলেজে তার জানাজা পড়তে দেওয়া হয়নি, তাই আমরা বাধ্য হয়ে সড়কে নেমেছিলাম।’
তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোরশেদ আলম বলেন, ছাত্রাবাসে কিছু আবাসিক ও বাইরের লোক মাদক সেবন করছিল। রানা ও অন্যান্য শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে সংঘর্ষ বাঁধে।
শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই দিন ঘটনাস্থলে উত্তেজনার পর রানা মাথায় গুরুতর আঘাত পান। মরদেহ হাসপাতালে না জানিয়ে গাজীপুরে নেওয়া হয়েছিল। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেরত আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।