চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে দুটি যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ শুক্রবার রাজধানীর সদরঘাটে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ এমভি জাকির সম্রাট-৩ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্ঘটনায় নিহত প্রতিটি পরিবারের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ ৫০ হাজার এবং আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি লঞ্চ দুটির মালিকপক্ষকে ডাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দায়ী মালিকপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের চার কর্মীকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চ না চালানোর নির্দেশনা দেন তিনি। একই সঙ্গে প্রতিটি লঞ্চে ফগ লাইট ও সাইড লাইট সচল থাকা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
এ ছাড়া সব লঞ্চের ফিটনেস ও লাইসেন্স নিয়মিত তদারকি করতে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় নিহত ও আহত যাত্রীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন সাখাওয়াত হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর নৌ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশাল ও ঝালকাঠির উদ্দেশে যাচ্ছিল। অন্যদিকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে আসছিল। রাত ১টা ৩৮ মিনিটের দিকে চাঁদপুরের হাইমচর এলাকায় ঘন কুয়াশার মধ্যে লঞ্চ দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।