মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইল পদ্মাপাড়ে চলছে বেড়িবাঁধের কাজ। সেখান থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এসব মাটি বাঁধের নিচে দিলে বাঁধ আরও শক্তিশালী থাকত, কিন্তু সেই মাটি বিক্রি করা হচ্ছে; যা দেখার কেউ নেই।
জানা গেছে, উপজেলার হাসাইল মাছ বাজারের পশ্চিম পাশে পদ্মা নদীতে বাঁধ নির্মাণের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। বাঁধের কাজ এখনো চলমান। বেড়িবাঁধের জন্য এক পাশে সিসি ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে। এরপর বাঁধ নির্মাণে সেসব সিসি ব্লক বসানো হচ্ছে। ব্লক বসানোর জন্য যেসব মাটি কেটে সরানো হয়েছে, সেসব মাটি অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, বেড়িবাঁধের কাজ চলছে। নির্মাণশ্রমিকেরা সিসি ব্লক বসাচ্ছেন। এ সময় শ্রমিক সরদার বাদশাকে পাওয়া গেলেও তাঁর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে বাধা প্রদান করেন স্থানীয় সোহেল বেপারী। তিনি বেড়িবাঁধের কাজ পরিচালনার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে বাধা দিয়ে বলেন, ‘আপনারা তাঁদের কোনো প্রশ্ন করবেন না; যা জানার আমাকে জিজ্ঞেস করুন।’ এরপর গোরস্তানে ৫০০ গাড়ির মতো মাটি দেওয়া হয়েছে। গাড়িপ্রতি ১ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এই টাকা কে নিয়েছে, জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
জানতে চাইলে হাসাইল বানারী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান দেওয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি যেটুকু জানি, প্রতি গাড়ির খরচ বাবদ ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।’
একই ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সোহেল হালদার বলেন, ‘আমি জানি গোরস্তানে মাটি দেওয়া হয়েছে। টাকার ব্যাপারে আমি সঠিক বলতে পারছি না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সিগঞ্জ পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাটি বিক্রি করার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি জানতাম না, খোঁজ নিয়ে দেখতেছি। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’