বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রেমিকা শ্যামলী খাতুনকে (৩০) গলাকেটে হত্যা করেন সুজন (৪০)। হত্যার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজনের কাছে ধরা পড়েন তিনি। গতকাল সোমবার রাতে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুজনকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শ্যামলীর গ্রামের বাড়ি নাটোর। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিপণন বিভাগে চাকরি করতেন।
আর সুজন দেশীয় একটি তৈরি পোশাকের শোরুমের বিক্রয় প্রতিনিধি। তাঁর বাড়ি পাবনা। তিনি রাজধানীর গ্রিনরোডে থাকতেন।
পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার রাতে কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় শ্যামলীকে গলাকেটে হত্যা করেন সুজন। হত্যার পর সুজন পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত মানুষের সহায়তায় রেলওয়ে পুলিশ তাঁকে আটক করে।
সুজন জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে, শ্যামলীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শ্যামলী তাঁকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় এবং অন্য কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে—এমন সন্দেহ থেকে শ্যামলীর প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয় সুজনের। শ্যামলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
গতকাল শ্যামলীকে ফোনে নাটোর থেকে ঢাকায় আসতে বলেন সুজন। ওই দিন বিকেলে শ্যামলী খাতুন নাটোর থেকে ঢাকায় আসেন। সুজন ও শ্যামলী খিলগাঁও দেখা করেন। এরপর রেললাইন ধরে তাঁরা হাঁটতে হাঁটতে কমলাপুর স্টেশনের দিকে যান। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্টেশনের নির্জন জায়গায় শ্যামলীকে ধাক্কা মেরে ফেলে মুখে ও গলায় ছুরিকাঘাত করেন। পুরো হত্যাকাণ্ডটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।