তরুণ সাংবাদিক ফখরুল ইসলাম ভূঁঞা (ফাহির ফখরুল) আজকের পত্রিকার সঙ্গে আজীবন মিশে থাকবে। আমরা সবাই হয়তো বাস্তবতার বেড়াজালে বন্দী হয়ে কোথাও না কোথাও চলে যাব। কিন্তু তরুণ এই সাংবাদিক আজীবন আজকের পত্রিকার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে। বিশেষ করে আজকের পত্রিকার অনলাইন বিভাগে স্মরণীয় হয়ে থাকবে সে।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ৩টায় ফাহিরের স্মৃতিচারণায় আজকের পত্রিকা অফিসে আয়োজিত এক শোকসভায় কথাগুলো বলছিলেন ফাহিরের সহকর্মী আজকের পত্রিকার সহকারী বার্তা সম্পাদক ফজলুল কবির।
আজকের পত্রিকার সম্পাদক ড. গোলাম রহমান বলেন, ‘এই সভাটি অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। মৃত্যু বাস্তব এবং অনিবার্য সত্য। কিন্তু সেই সত্য যে ২৪ বছর বয়সের একজন সহকর্মীকে হারিয়ে মেনে নিতে হবে, তা কখনোই ভাবিনি। ফাহিরের এই মৃত্যু আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
এ সময় সেলিম খান সবার উদ্দেশে নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন।
আজকের পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক মামুন আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজকের পত্রিকায় সাড়ে ছয় শ কর্মীর একটি পরিবার আমরা। এর ভেতর থেকে ফাহির চলে গেল। শোক আর কান্না ছাড়া আমাদের এখন আর কিছুই করার নেই। তবু বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
আজকের পত্রিকার সহকারী বার্তা সম্পাদক অর্ণব সান্যাল বলেন, ‘ফাহির সেদিন অফিসে এসেছিল। ওপরে ক্যানটিনে যখন খাচ্ছিলাম তখন সে বলেছিল, ভাই, আমি এখন যাই? তার সেই যাওয়াটাই শেষ যাত্রা ছিল কখনোই ভাবিনি। জানলে তাঁকে কখনো যেতে দিতাম না।’
এর আগে ফাহিরকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন তাঁর সহকর্মী সুপ্রিয় সিকদার ও গোলাম ওয়াদুদ।
শোকসভার শুরুতেই ফাহিরের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শোকসভা শেষে ফাহিরের জন্য দোয়া করা হয়। এ সময় আজকের পত্রিকায় ফাহিরের সহকর্মী ও তাঁর বন্ধুদের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।