সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করে তৃতীয় দিনের মতো অনশন করছেন অবৈধ অভিবাসনের দায়ে গ্রিস থেকে দেশে পাঠানো ১৯ অভিবাসী।
আজ মঙ্গলবার নিয়ে তিনদিন ধরে প্রেস ক্লাবের সামনে তাঁরা ফেরত পাঠানোর প্রতিবাদে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
অনশনরত ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২০ ডিসেম্বর ২০২১ দিবাগত রাতে তাঁদের ১৯ জনকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের কোনোকিছু না জানিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলেট মো. খালেদ তাঁদের আউট পাস ফেরত পাঠানোর জন্য কাগজপত্র দিয়ে দেয় গ্রিস পুলিশকে। পরে ওই রাতে তাঁদের সবাইকে টানা হেঁচড়া করে উড়োজাহাজে তুলে দেয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের লোকজনের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেও কোনো সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
ভুক্তভোগীরা আরও বলেন, বর্তমানে তাঁরা খুব অসহায় অবস্থায় আছেন। গ্রিস যাওয়ার জন্য প্রত্যেকের ১৫ লাখ টাকার ওপরে খরচ হয়েছে। এ টাকাগুলো ধার-দেনা ও জমি-জমা বিক্রি করে কেউ জমি বন্ধক রেখে ও সুদে টাকা নিয়ে সংস্থান করেছেন। এখন তাঁরা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দেশে এসে সর্বহারা হয়ে পথে পথে ঘুরছছেন।
অনশনরত ফেনী জেলার সোহেল বলেন, ‘২০১৯ সালে ভিজিট ভিসায় প্রথমে দুবাই গিয়ে তারপর স্বপ্নের দেশ ইউরোপের গ্রিসে পৌঁছাই। গ্রিসে পৌঁছে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সেই দেশের সরকার তাঁদের আশ্রয় ক্যাম্পে নিয়ে যায়। গ্রিস সরকার ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁদের ১৮ মাস পর বৈধতা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ইব্রাহিম খালেদ জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দেন।’
ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়ে সোহেল বলেন, ‘আমাদের ক্ষতিপূরণবাবদ এবং ঋণের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য প্রত্যেককে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা করে দেওয়া হোক। পুনরায় গ্রিসে ভিসা প্রসেসিং চালু হওয়ার পরে আমাদের সর্ব প্রথম গ্রিসে পাঠানোর সব ব্যবস্থা যেন করা হয়-এই আমাদের দাবি।’