নরসিংদীর মাধবদীতে এক অটোরিকশায় যাত্রীবেশে উঠে চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর তাঁর অটোরিকশাটি ছিনতাই করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ ব্যক্তি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নরসিংদী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে গত মঙ্গলবার নরসিংদীর মাধবদী ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত নূরুল ইসলাম মাধবদী থানাধীন পাঁচদোনা ইউনিয়নের ভাটপাড়া এলাকার মৃত কাশেম আলীর ছেলে। গত ১৫ জুন তাঁকে হত্যা করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—মাধবদী থানার পাথরপাড়া গ্রামের মজিবর মিয়ার ছেলে বাচ্চু মিয়া (২৭), একই এলাকার বকুল মিয়ার ছেলে মো. হৃদয় (২৭), মৃত ইমান আলীর ছেলে নবী হোসেন (৩৫) ও বালুসাইর গ্রামের মুকসেদ আলীর ছেলে সোহেল মিয়া (৩২)। গ্রেপ্তারের পর আদালতে নেওয়া হলে তাঁরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১৫ জুন নরসিংদীর মাধবদীর মদনপুর রোডের ৫ নম্বর ব্রিজ এলাকার ধামের ভাওলা এলাকার কাচা রাস্তার পাশের গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে অটোরিকশা চালক নূরুল ইসলামকে (৫০) হত্যা করা হয়। এরপর তাঁরা অটোরিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায়। তাঁরা যাত্রীবেশে অটোরিকশায় উঠেছিলেন। পরদিন সকাল ৬টার দিকে ওই স্থান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় গত ১৯ জুন নূরুল ইসলামের স্ত্রী শিউলি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মাধবদী থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের শনাক্ত ও ছিনতাই হওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশা উদ্ধার করে।