ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ঈদের পর আজ রোববার দুপুরের পর থেকে ভোগান্তিতে পড়তে হয় দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে এসে। হঠাৎ যানবাহনের চাপে ঘাট এলাকায় সৃষ্টি হয় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। যানবাহনগুলোকে ফেরিতে উঠতে অপেক্ষায় থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এতে ভোগান্তিতে পড়েন চালক ও যাত্রীরা।
সরেজমিনে আজ রোববার বিকেলে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে ফেরিঘাট এলাকায়। ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে যানবাহনের সারি। প্রতিটি যানবাহনকে ফেরিতে উঠতে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দুই ঘণ্টারও বেশি সময়। বৈরী আবহাওয়ায় ফেরি পারের অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তিতে রয়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা রাবেয়া পরিবহনের যাত্রী মো. হাসানুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ শেষে কর্মস্থলে ফিরছি। কিন্তু ফেরি ঘাটে এসে ভোগান্তিতে পড়তে হবে ভাবিনি। ঘাট এলাকায় এসে দেখি গাড়ির লম্বা লাইন হয়ে আছে। কখন ফেরিতে উঠতে পারব জানি না।
পূর্বাশা পরিবহনের যাত্রী মোহাম্মদ কাজল মোল্লা বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পর এই প্রথম ফেরিঘাটে জ্যামে পড়লাম। গত এক বছরের মধ্যে ঘাটে এসে ফেরির জন্য বসে থাকতে হয় নাই। জ্যাম হলেও আমাদের কি করার আছে? অপেক্ষায় থাকি পদ্মা সেতু চালুর আগে যেমন আট নয় ঘণ্টা অপেক্ষা করতাম, এখন না হয় দুই তিন ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হবে।
সাকুরা পরিবহনের নারী যাত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, প্রচন্ড গরম। মাঝে মধ্যে প্রচুর বৃষ্টি। এর মধ্যে অনেক সময় হলো ফেরি ঘাটে এসেছি। ফেরি অপেক্ষায় প্রায় ২ ঘণ্টা। শিশু বাচ্চা নিয়ে গাড়ির মধ্যে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। জানি না ফেরিতে কখন উঠতে পারবো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা বন্দরের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঈদের ছুটি শেষে যাত্রীবাহী পরিবহনের অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। তবে যানবাহন নদী পারাপার করার জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি রয়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। বর্তমান ছোট বড় ১২টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের চাপ বাড়লে প্রয়োজনে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো হবে।