করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অস্থায়ীভাবে ৩৫ বছর করার দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন একদল চাকরিপ্রার্থী। গত ১৯ দিন ধরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন তারা।
আজ সোমবার কর্মসূচি চলাকালে চাকরিপ্রার্থী জুবায়ের আলম শেখ বলেন, যে সকল শিক্ষার্থীর জন্ম ১৯৯০, ১৯৯১, ১৯৯২,১৯৯৩, ১৯৯৪ সালে এবং করোনাকালীন বয়স ২৯, ২৮, ২৭, ২৬, ২৫ বছর তারা বিগত সময়গুলোতে সবচেয়ে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। করোনা মহামারী, কোটা পদ্ধতি, সেশনজট, প্রশ্নফাঁস, ডিভাইস বানিজ্য, এক দিনে ১৫-২০ টি নিয়োগ পরীক্ষা, প্রায় দেড় বছর সার্কুলার বন্ধ থাকা, রি-সার্কুলারে আবেদনের সুযোগ না রাখার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। বিগত সরকারের শাসনামলে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, দলীয় নিয়োগ, ব্যাকডেট বঞ্চিত, ৩২ এর সুবিধা বঞ্চিত, জুলাই বিপ্লবসহ নানাবিধ পরিস্থিতির কারণেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থী শাপলা আকতার বলেন, মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের জন্য চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি কর উচিত। ২০২৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিসিএস এবং এর অধীনস্থ অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তরসহ সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত, জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠান সমূহে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অস্থায়ীভাবে ৩ বছর বৃদ্ধি করে ৩৫ নির্ধারণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।
চাকরিপ্রার্থীরা বলেন, বেকারদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আর ইতিমধ্যেই যারা সরকারি নানা সিদ্ধান্ত ও দুর্নীতি অনিয়মের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ঘুরে দাঁড়াবার সুযোগ দেওয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। এজন্য চান সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে অস্থায়ীভাবে তাদের জন্য চাকরির বয়সসীমা ৩ বছর বৃদ্ধি করুক।