মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহতের পর মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরদিন গতকাল সোমবার একই অপরাধে মামলা হয় ২৫টি। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এদিকে গতিসীমা লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৪টি মামলা করে হাইওয়ে পুলিশ। জানুয়ারিতে এ সংখ্যা ছিল ৩১৫টি।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাইম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, গতিসীমা লঙ্ঘন করায় গত দুই দিনে ৩৮টি মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। গতিসীমা লঙ্ঘন করলে আরও মামলা হতে পারে।
এদিকে জেলা প্রশাসক থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পলব কুমার হাজরা বলেন, তদন্তের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় দিনের কাজ এখনো চলমান। তবে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী আজ রাত ১২টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গত রোববার সকাল ৮টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি শিবচরের পাঁচ্চর পার হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ের আন্ডারপাসের পাশে সংযোগ সড়কে আছড়ে পড়ে। এ সময় বাসটির একটি অংশ আন্ডারপাসের ওপর এবং অপর অংশ এক্সপ্রেসওয়ের ঢালুতে ঝুলে ছিল।
এ সময় গাড়ি থেকে ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শিবচর হাসপাতালে মারা যায় তিনজন এবং ঢাকায় আরও দুজন।