এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত ব্যক্তিরা হলেন, মাঝারদিয়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সরোয়ার মোল্লা (৮১), তাঁর ছেলে মনির মোল্লা (৪৩), নাতি দিহান মোল্লা (১৮), মুক্তিযোদ্ধার ভাই মো. ছিদ্দিক মোল্লা (৬২) এবং তাঁর ছেলে নাসির মোল্লা (২২)। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ ও ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হরা হয়েছে। এদের মধ্যে নাসির মোল্লা ও ছিদ্দিক মোল্লা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। অপরদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম লায়ন মাতুব্বর ওই এলাকারই বাসিন্দা।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাঝারদিয়া গ্রামে মোল্লা ও মাতুব্বর পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলার এ ঘটনাটি ঘটে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আহত দিহান মোল্লা জানান, আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে মোটরসাইকেলে করে দাদা ও বাবাকে নিয়ে ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে গ্রামের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় মাঝারদিয়া গ্রামের লায়ন মাতুব্বরের (৬০) বাড়ির সামনে আসলে লায়ন মাতুব্বরসহ তাঁর সমর্থকগোষ্ঠীর ২০ / ২৫ জন আমাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এরপর সকলেই আমাদের ওপর আক্রমণ করে। রামদা ও লাঠি দিয়ে আমাদেরকে কোপায় ও পেটায়। আমাদের চিৎকারে চাচা ছিদ্দিক মোল্লা ও তাঁর ছেলে নাসির মোল্লা এগিয়ে এলে তাঁদেরকেও পেটায়। পরে এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লায়ন মাতুব্বরের এক নিকট আত্মীয় জানান, ‘গত ৬ মাস আগে ভুক্তভোগী সারোয়ার মোল্লার সমর্থকেরা লায়ন মাতুব্বরকে মারধর করেছে। এর জের ধরেই এ হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।’
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার মোল্লা ও তাঁর ছেলে মনির মোল্লাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।