হোম > অপরাধ > ঢাকা

নরসিংদীতে বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে হত্যা, ১২ জনের নামে মামলা

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরায় ঘরে ঢুকে জুলহাস মিয়া (২৮) নামের এক পোলট্রি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা করা হয়।

গতকাল সোমবার রাতে নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় মামলা করেন। তবে হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এতে হতাশা প্রকাশ করেন নিহতের স্বজনেরা। 

গত শনিবার সন্ধ্যায় রায়পুরার চরাঞ্চল নীলক্ষা ইউনিয়নের বীরগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জুলহাস মিয়া ওই এলাকার শামসুল মিয়ার ছেলে। 

এ সময় তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন বীরগাঁও হাজী বাড়ির আলমগীরের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৮), বিল্লাল মিয়ার ছেলে ইয়ামিন মিয়া (১৮), সাদ্দাম মিয়া (৩২) ও গোপীনাথপুরের কালা গাজীর ছেলে রাইজ উদ্দিন (২৬)। আহতেরা সবাই চংপাড়া ও বীরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। 
 
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিলে জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে হাবিবুর রহমান, ইয়ামিন মিয়া ঢাকায় ও রাইজ উদ্দিন, সাদ্দাম মিয়া নরসিংদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

নিহতের স্বজনেরা জানান, নীলক্ষা ইউনিয়নের গোপীনাথপুর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী জালাল মিয়া ককটেল তৈরির পর বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে থাকেন। সম্প্রতি তিনি একাধিকবার ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করেন। গত শনিবার ঈদের দিন বিকেলে জালালের নেতৃত্বে একটি দল জুলহাস মিয়ার খামারের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটাতে যান। এ সময় জুলহাস মিয়া বাধা দিয়ে বলেন, এখানে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে খামারের মুরগি ভয় পাবে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। 

জুলহাসের স্বজনেরা আরও জানান, একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। পরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জুলহাসের বাড়িতে গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। তাতে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। 

এদিকে হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জনমনে এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

নিহতের ভাই মানিক মিয়া বলেন, ‘হরিপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে জিয়া, আরিফ, সোলেমান, মামুনসহ বেশ কয়েকজন যুবক ককটেল ফাটায়। তাদের বাধা দেওয়ায় নির্মমভাবে প্রকাশ্যে জুলহাসকে গুলি করে হত্যা করে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে এসে বাড়িতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। এত বড় ঘটনার পরও তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। পরিবার নিয়ে ভয়ে আছি। ভাই হত্যার বিচার চাই।’ 

নিহতের মামা আজান মিয়া বলেন, ‘যারা গুলি করে হত্যা ও আহত করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ 

রায়পুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ রাব্বানি বলেন, নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে রাতে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তদন্তের স্বার্থে কিছু জানাননি।

বিমানবন্দর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকায় প্রবেশের পথ ৪ ঘণ্টা টোলমুক্ত থাকবে আগামীকাল

বিমানবন্দর থেকে গুলশান ও এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ‎

বড়দিন উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো নিষেধ

শ্রীপুরে গভীর রাতে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে জাসাস নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

যুবদল নেতা আরিফ সিকদার হত্যা: সুব্রত বাইনের মেয়ে ফের রিমান্ডে

ঘন কুয়াশায় মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে চার যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত কয়েকজন

ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১

ঢাকা মেডিকেলে ফেলে যাওয়া তরুণীর মরদেহ শনাক্ত, পরিবারের অভিযোগ হত্যা

পাখিও তো গান গায়, পাখির নীড় ভাঙবে কবে—সংস্কৃতিকর্মীর জিজ্ঞাসা

হাদি হত্যা মামলা: ফয়সালদের ৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ