রাজধানীর ডেমরায় বামৈল এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নাহিদ ইসলাম (১৩) নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বামৈল ব্রিজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নাহিদ নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরখাগড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল নাহিদ। তার পরিবার ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার দেল্লা এলাকায় থাকে। নাহিদ ডেমরা বামৈল এলাকায় জামিয়া কারামিয়া নামে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ত।
ওই কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সিএনজি অটোরিকশাচালক মো. রোমান বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে বামৈল ব্রিজের পাশ দিয়ে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় ওই কিশোরকে বাইসাইকেলসহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। তার পাশে মোটরসাইকেলসহ তিনজন পড়ে আছে। তখন অটোরিকশা থেকে যাত্রী নামিয়ে ওই কিশোরকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীরা স্থানীয় কোনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহত নাহিদের বাবা জাহাঙ্গীর আলম। তিনি জানান, তাঁদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরখাগড়া গ্রামে। তিনি পরিবার নিয়ে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার দেল্লা এলাকায় থাকেন। নাহিদ ডেমরা বামৈল এলাকায় জামিয়া কারামিয়া নামে একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ত।
নাহিদের বাবা আরও জানান, দুই-এক দিন পরপর মাদ্রাসা থেকে হেঁটে বাসায় আসত নাহিদ। আজ সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে বাসায় যাচ্ছিল সে। তবে তার নিজের কোনো সাইকেল ছিল না। কার সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিল, তা তিনি জানেন না।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, সন্ধ্যায় ডেমরা থেকে ওই কিশোরকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।