জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) সমর্থিত ৫ সদস্যের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ নামে আংশিক প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্যানেল ঘোষণা করা হয়। তবে এই প্যানেল থেকে ভিপি পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
এ প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ছাত্র ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ইমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সংগঠক সোহাগী সামিয়া, তথ্যপ্রযুক্তি ও গ্রন্থাগারবিষয়ক সম্পাদক পদে সৈয়দ তানজিম আহমেদ, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক তানজিল আহমেদ, সহসমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক (নারী) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সাদিয়া ইমরোজ ইলা।
প্যানেল ঘোষণা শেষে তাঁরা জানান, ঐক্যের স্বার্থে শিবির এবং অন্যান্য মৌলবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে তাঁদের প্রার্থীদের বাইরে অন্য পদগুলোতে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক মুক্তমনা প্রার্থীদের প্রতি তাঁরা সমর্থন জানাবেন।
প্যানেল ঘোষণার সময় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদের প্রার্থী সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করেছিলাম জাতীয় এবং ক্যাম্পাসের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সব বামপন্থী, প্রগতিশীল, মুক্তমনা সংগঠন এবং ব্যক্তিদের সমন্বয়ে মৌলবাদী ফ্যাসিস্ট শক্তি ও যুদ্ধাপরাধী শক্তির বিরুদ্ধে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির একটা বৃহত্তর জোট গঠন করে জাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে। কিন্তু অন্যান্য সংগঠনের মধ্যে দলীয় সংকীর্ণতা, দৃষ্টিভঙ্গিগত সমস্যা, জনতুষ্টিবাদী চিন্তা ইত্যাদি নানা কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এবং গণতন্ত্র ও প্রগতিমনা শিক্ষকদের দিক থেকেও চেষ্টা করে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল দিতে সফল হইনি। তবে ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তিগুলোকে একই ছাতার নিচে এনে ঐক্যবদ্ধভাবে ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট শক্তিকে মোকাবিলায় আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’