হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তা। আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
মামলায় সাক্ষ্য প্রদানকারী পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক বোরহান দর্জি ও ওবায়েদ হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর একই মামলায় পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান ও সহকারী উপপরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন।
রকিব উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ (সোমবার) সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। এই মামলার পুলিশের দুজন কর্মকর্তা আজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য প্রদানকালে তারা বলেছেন, ‘‘থানার ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে খবর পেয়ে রয়েল রিসোর্টে ছুটে যান। সেখানে গিয়ে তারা মামুনুল হককে ও জান্নাত আরা ঝর্নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক এলোমেলো জবাব দেন। জান্নাত আরা ঝর্ণাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, মামুনুল হক তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রয়েল রিসোর্টে এনে ধর্ষণ করেছেন।’ ’ এখন পর্যন্ত মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।’
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ছয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট আটজনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ মাত্র দুজন পুলিশ কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের দেওয়া সাক্ষ্যে অনেক অসামঞ্জস্যতা ছিল। সাক্ষীদের জেরাকালে তারা অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি।’
এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। পরে সপ্তম ধাপে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাঁকে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।