ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমের (৩৮) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার রাত ৯টার দিকে ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্স যোগে কমফোর্ট হাসপাতাল থেকে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই আবুল কাশেম জানান, তাদের বাবা আবু সালেহ ও মা আফরোজা বেগম অনেক আগেই মারা গেছেন। স্ত্রী সিফাত ও একমাত্র মেয়ে আফরাসহ (৫) পরিবারের সবাই গ্রামের বাড়ি ভোলার সদর চর নোয়াবাদ গ্রামে থাকতেন। ৪ ভাই ও ৪ বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। নুরে আলম ভোলা সদরে ‘টেন স্পোর্টস’ নামে খেলাধুলার সামগ্রীর দোকানে ছিল। পাশাপাশি ঠিকাদারি করতেন।
আবুল কাশেম আরও জানান, ভোলার সবাই খুব পছন্দ করত নুরে আলমকে। ১৫ বছর রাজনীতি জীবন ছিল নুরে আলমের। ময়নাতদন্তের পর নুরে আলমের মরদেহ ভোলা গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার জানান, নুরে আলমের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। পরে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম। আহত নুরে আলমকে ওই দিন রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে রাজধানীর কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার বেলা ৩টায় তার মৃত্যু হয়।