নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আহাদ বাবু (৫) নামের এক শিশুকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলার আরও দুটি ধারায় ১৪ বছর ও ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাঁকে।
আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি নাজমুল হুদা লিয়ন (২৮) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নে। তিনি ফতুল্লার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
রায়ের বিষয়ে আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিশুর পরিবার ও লিয়ন পাশাপাশি বাসায় ভাড়া থাকত। ২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর শিশুর বাসায় টিভি দেখতে যায় তিনি। সে সময় শিশুটির মা তাদের দুজনকে এক রুমে রেখে পাশের রুমে নামাজ পড়তে যান। নামাজ শেষে ঘরে ফিরে এসে আর তাদের দেখা যায়নি। এর পর থেকেই নিখোঁজ ছিল লিয়ন ও আহাদ।’
ঘটনার পর লিয়ন মোবাইল ফোনে মুক্তিপণ দাবি করেন। কিন্তু আহাদের পরিবার সেই টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। টাকা না পেয়ে আহাদকে মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর ব্রিজের ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেন লিয়ন।
পরবর্তীকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করলে আদালতের জবানবন্দিতে লিয়ন জানান, নিজের ছেলে অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে চিকিৎসা করতে টাকা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সে টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না। সেই কারণেই আহাদকে অপহরণ করে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চালান। টাকা না পাওয়ার ক্ষোভে ব্রিজ থেকে ফেলে দেওয়া হয় আহাদকে। সেই মামলায় আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আজ রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।