চোরাই পথে অবৈধভাবে মোবাইল আনা এবং বিক্রির অপরাধে চোরাচালানকারী চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩০৯টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মাহমুদুল হাসান মাসুদ (২৮), জিসান (২৫), রাসেল (২৮), বিপ্লব হোসেন (৩২), রায়হান (২৩), রকি (১৯) ও হাসিবুল ইসলাম (২১)।
জানা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাই পথে অবৈধভাবে মোবাইল আনে একটি চক্র। তা অবৈধভাবে এ্যাসেম্বল করে সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিক্রি করা হয়। ফলে অধিক লাভ করে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন তাঁরা। এরই ভিত্তিতে বিটিআরসি'র প্রতিনিধিরা পল্লবী সুপার মার্কেটের বেশ কয়েকটি মোবাইলের দোকানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আজ বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, ওই সব মোবাইল ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন সময় গ্রাহকেরা বিড়ম্বনার শিকার হন। এ ছাড়া আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য নির্দিষ্ট নিয়মে আইএমইআই নম্বর দেখে নতুন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
অভিযানে ভিভোর ৩৮ টি, অপ্পো ৬৩ টি, স্যামসাং ৯ টি, রেডমি ৩৬ টি, সনি এক্সপ্রিয়া ২ টি, আইফোন ৩৭ টি, এইচটিসি ৪ টি, সিম্ফোনি ১ টি, এলজি ৩ টি, নোকিয়া ২ টি, রিয়েলমি ৭ টি, পোকো ১টিসহ মোট ৩০৯টি অনিবন্ধিত মোবাইল জব্দ করা হয়। যার বাজার মূল্য ৫০ লাখ টাকা।
অতিরিক্ত ডিআইজি আরও বলেন, অভিযান চালানোর সময় বিটিআরসির প্রতিনিধি দল তাঁদের নিজস্ব সফটওয়্যার ও সার্ভারের মাধ্যমে আইএমইআই নম্বর যাচাই করেন। পরে ৩০৯টি মোবাইল সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে চোরাইপথে আমদানি করা বলে ঘোষণা করা হয়। এ সময় গ্রেপ্তারদের নামে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পল্লবী থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।